*** IT সম্পর্কে দক্ষ হতে চান ? ** তাহলে নিয়মিত Visit করুন .... IT Knowledge School **** টেকপ্রেমী : বদিউজ্জামান ( রুবেল )
*** IT সম্পর্কে দক্ষ হতে চান ? ** তাহলে নিয়মিত Visit করুন .... IT Knowledge School **** টেকপ্রেমী : বদিউজ্জামান ( রুবেল )
Blogger Tips and TricksLatest Tips And TricksBlogger Tricks

অ্যাপ বানাতে জানতে হবে যা.......

বিশ্বে ব্যবহৃত অ্যাপের অধিকাংশই অ্যানড্রয়েড। এই অ্যাপ তৈরির পর অনলাইন স্টোরে আপ করে আয়ও করা যায়। এই অ্যাপ তৈরিতে প্রোগ্রামিংয়ের পাশাপাশি জানতে হবে আরো কিছু বিষয়। সেগুলো জানাচ্ছেন অ্যাপ প্রশিক্ষক মোশাররফ রুবেল 

মোবাইল অপারেটিং সিস্টেম বাজারের অধিকাংশই অ্যানড্রয়েডের দখলে। স্মার্টফোন, ট্যাবলেট কম্পিউটার, স্মার্টওয়াচ, স্মার্ট ক্যামেরা ও স্মার্ট টিভিতেও গুগলের এই অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহার হচ্ছে। একে মূলত তিন ভাগে ভাগ করা যায়। লিনাক্স কার্নেল, জাভাভিত্তিক ডালভিক ভার্চুয়াল মেশিন ও ইউজার ইন্টারফেস। মূলত স্পর্শনির্ভর (টাচস্ক্রিন) হলেও কিবোর্ড, মাউস, জয়স্টিক দিয়েও অ্যানড্রয়েড চালানো যায়। মুক্ত সোর্স হওয়ায় ডেভেলপারদের কাজও সহজ করেছে অ্যানড্রয়েড। সহজলভ্য ও কম খরচই অ্যানড্রয়েডের জনপ্রিয়তার মূল কারণ।

মোবাইলের অ্যাপ্লিকেশন তৈরির জন্য রয়েছে পরিকল্পনা, রিকয়ারমেন্টস, ডিজাইন, কোডিং, টেস্টিং—এ রকম কয়েকটি ধাপ। একেক ধাপের জন্য একেক ধরনের দক্ষতা প্রয়োজন। অ্যাপটি দৃষ্টিনন্দন করার জন্য লাগে ডিজাইন। আর স্বয়ংক্রিয় করার জন্য লিখতে হয় প্রোগ্রামিং কোড। তবে কোন প্ল্যাটফর্মের জন্য অ্যাপ তৈরি করা হচ্ছে, তা ডেভেলপারকে জানতে হবে।

লাগে প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ

অ্যাপ তৈরি করতে লাগে ভিন্ন ধরনের প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ। নিজ নিজ প্ল্যাটফর্মের প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ ব্যবহার করে তৈরি অ্যাপকে ‘নেটিভ অ্যাপ’ বলে। অ্যাপ তৈরি করার জন্য সব প্ল্যাটফর্মের নিজস্ব ‘ইন্টিগ্রেটেড ডেভেলপমেন্ট এনভায়রনমেন্ট’ (আইডিই) রয়েছে। ওই আইডিই ব্যবহার করে অ্যাপ তৈরি করতে হয়। তৈরি করার পর অ্যাপ ঠিকমতো কাজ করছে কি না, তা পরীক্ষার জন্য আইডিইর পাশাপাশি রয়েছে ভার্চুয়াল ডিভাইস ‘ইমিউলেটর’।

ভালো অ্যানড্রয়েড অ্যাপ ডেভেলপ করতে হলে জাভা ভালোভাবে জানতে হবে। ধারণা থাকতে হবে বেসিক সিন্ট্যাক্স, লজিক চিন্তা করে কোড লিখতে পারা, লুপ, অ্যারে, ডাটা টাইপ, ওওপির (অবজেক্ট অরিয়েন্টেড প্রোগ্রামিং) কনসেপ্ট, থ্রেড, ট্রাই ক্যাচ সম্পর্কে।

বাংলাদেশে অ্যানড্রয়েডের জাভা সংক্রান্ত সাহায্যের জন্য বাংলাদেশ অ্যানড্রয়েড ডেভেলপারস গ্রুপ রয়েছে ফেইসবুকের www.facebook.com/groups/android.devs.bd/ গ্রুপে দেশের প্রায় ১৭ হাজার ডেভেলপার রয়েছেন। অ্যানড্রয়েড ও জাভাসংক্রান্ত সমস্যার সমাধান পাওয়া যাবে তাদের কাছ থেকে।

অনলাইনে আরো কিছু সাইট থেকে জাভা শিখতে পারেন।






এক্সএমএল জ্ঞান

অ্যানড্রয়েড অ্যাপের যে ইন্টারফেস আমরা দেখতে পাই, তা ডিজাইন করা হয় এক্সএমএল দিয়ে, আর কাজগুলো হয় জাভা প্রোগ্রামিং দিয়ে। অ্যাপের লেআউট ডিজাইন ও অ্যাট্রিভিউট স্থাপনে এক্সএমএল কাজে লাগে।

এক্সএমএল সম্পর্কে আরো জানা যাবে www.developer.android.com সাইট থেকে।

এক্সএমএলের বাংলা টিউটরিয়াল পাওয়া যাবে https://www.youtube.com/playlist?list=PLXF3e0‰lcl4ac65Ad7diXi2ctTX6msQ6B ঠিকানায়।



অ্যানড্রয়েড স্টুডিও

অ্যানড্রয়েড স্টুডিও হচ্ছে ইন্টিগ্রেটেড ডেভেলপমেন্ট এনভায়রনমেন্ট বা আইডিই। আইডিইতে অ্যাপ তৈরির প্ল্যাটফর্ম তৈরি করে সেখানে জাভা কোড ও এক্সএমএল কোড লেখা হয়। অ্যানড্রয়েড স্টুডিওতে ভার্চুয়াল ডিভাইস তৈরি করে সেখানে তৈরি করা অ্যাপ নিরীক্ষা করা হয়।

অ্যানড্রয়েড স্টুডিও বিনা মূল্যে ডাউনলোড করা যাবে  http://developer.android.com/sdk/installing/index.html থেকে।

ডাউনলোডের পর সাধারণ সফটওয়্যারের মতোই এটিকে ইনস্টল করা যাবে। এরপর কাজ করা যাবে অনলাইনে। সফটওয়্যারটি ব্যবহার করতে ভালো কনফিগারেশনের কম্পিউটার লাগবে।



অ্যানড্রয়েড এসডিকে

এসডিকে হচ্ছে সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট কিট। এটা টুলবক্সের মতো। অ্যানড্রয়েড ডিভাইসের ক্যামেরা, সাউন্ড, সেন্সর ইত্যাদি টুল ব্যবহার করতে এসডিকে কাজে লাগবে।

ডাউনলোড করা যাবে  http://developer.android.com/sdk/installing/index.html থেকে। অ্যানড্রয়েড স্টুডিওর সঙ্গে যুক্ত হয়ে কাজ করে এসডিকে।



ডাটাবেইস

অ্যাপ তৈরির সময় ডাটা নিয়ে কাজ করতে হয়। ডাটা স্টোর ও রিড-রাইট করার পদ্ধতি না জানলে অ্যাপ বানানো যাবে না।

ডাটাবেইস ডিজাইন সম্পর্কে প্রাথমিক জ্ঞান পাওয়া যাবে https://www.ntu.edu.sg/home/ehchua/programming/ ঠিকানা থেকে।



এপিআই

এপিআইয়ের পূর্ণ রূপ হচ্ছে অ্যাপ্লিকেশন প্রোগ্রামিং ইন্টারফেস। সার্ভারের সঙ্গে অ্যাপের যোগাযোগ ঘটায় এপিআই। এক্সএমএল পার্সিং ও জেসন পার্সিং—এই দুই পদ্ধতিতে কাজ করে এপিআই। জেসন পার্সিং সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যাবে  http://www.tutorialspoint.com/index.htm  -এ।



ম্যাটেরিয়াল ডিজাইন

ম্যাটেরিয়াল ডিজাইন হচ্ছে ইন্টারফেসের কম্পোনেন্ট। সাম্প্রতিক সময়ে ম্যাটেরিয়াল ডিজাইনের দিকে নজর দিচ্ছে গুগল। অ্যানড্রয়েড যেহেতু গুগলের পণ্য, তাই ম্যাটেরিয়াল ডিজাইন সম্পর্কে জানা থাকলে অ্যাপ বানানো সহজ হবে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

গুগলের ম্যাটেরিয়াল ডিজাইন সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যেতে পারে  http://www.tutorialspoint.com/index.htm  -এ।



প্রশিক্ষণ চাই?

বুয়েটের ‘বাংলাদেশ-কোরিয়া ইনফরমেশন অ্যাকসেস সেন্টার’ থেকে ‘মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন ডেভেলপমেন্ট ইন অ্যানড্রয়েড’ কোর্স করা যায়। এখানে শেখা যায় অ্যাডভান্স জাভা ও অ্যানড্রয়েড অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট। ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়েও এ বিষয়ে স্বল্পমেয়াদি কোর্স রয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানে আবেদনের যোগ্যতা ন্যূনতম এইচএসসি।


অনলাইনে টিউটরিয়াল দেখে অ্যাপ শেখাও কঠিন কিছু নয়। শুধু খুঁজে নিতে হবে।

Badiuzzaman ( Rubel )